হোস্টিং কেনার আগে করণীয়
  1. পরিকল্পনা এবং উদ্দেশ্য: আপনার ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা কী? হোস্টিং কেনার আগে করণীয়, নিশ্চিত হোন আপনি কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? এটি ব্যবসায়িক, ব্যক্তিগত, বা আর্টিস্টিক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্লগ, ই-কমার্স সাইট, পোর্টফোলিও সাইট, ইত্যাদি।
  2. ডোমেইন নাম: আপনি কোন ডোমেইন নাম নিতে চান? এটি আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি করে এবং ব্যবসা/প্রকল্পার নাম অনুসারে হতে পারে। ডোমেইন নামের স্বল্পস্থান এবং সম্পর্কিত মার্কেটিং কন্সাইডারেশন গুরুত্বপূর্ণ।
  3. হোস্টিং প্ল্যান: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কি ধরনের হোস্টিং প্ল্যান প্রয়োজন? শুরুতে ছোট মাত্রার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং প্ল্যান সাজেস্ট হতে পারে, আর বড় ওয়েবসাইট বা ব্যবসায়িক প্রকল্পের জন্য ভারতি সার্ভার বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার প্ল্যান ভালো হতে পারে।
  4. দাম এবং সার্ভিস কোম্পারিসন: ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার আগে বিভিন্ন হোস্টিং প্রদানকারী কোম্পানির প্ল্যান এবং মূল্য তুলনা করুন। মাসিক বা বাৎসরিক খরচ, সাপোর্ট সেবা, সার্ভার স্পেস, ব্যান্ডউইথ, সিকিউরিটি ব্যবস্থা, ইমেইল হোস্টিং, ইত্যাদি বিবেচনা করুন।
  5. কাস্টমার রিভিউ পরীক্ষা: আপনি যে হোস্টিং কোম্পানি নির্বাচন করতে চাচ্ছেন, তার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের রিভিউ পরীক্ষা করুন। গুগল রিভিউ, সোশ্যাল মিডিয়া, ফোরাম, ব্লগ পোস্ট ইত্যাদি সম্পর্কে অনুসন্ধান করুন।
  6. সামর্থ্য এবং সুরক্ষা: সার্ভারের সামর্থ্য এবং সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। ডোমেইনের এবং হোস্টিং প্রদানকারীর সিকিউরিটি ব্যবস্থা, ডাটা ব্যাকআপ পদ্ধতি, সাইবার সুরক্ষা সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  7. টেকনিক্যাল সাপোর্ট: ভবিষ্যতে যেকোনো সমস্যা বা প্রশ্নের জন্য কারও সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোম্পানির টেকনিক্যাল সাপোর্টের মান গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিষয়গুলি মনে রাখলে আপনি নিজেই সঠিক হোস্টিং প্রদানকারী কোম্পানি বা সেবা প্রদানকারী নির্বাচন করতে পারবেন।


ডোমেইন এবং হোস্টিং কোন কোম্পানি থেকে কিনবেন বা রেজিস্ট্রেশন করবেন?

ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনি বিভিন্ন ডোমেইন রেজিস্ট্রার কোম্পানি থেকে সেবা নিতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ডোমেইন রেজিস্ট্রার কোম্পানির মধ্যে নিম্নলিখিত রয়েছে:
Bluehost, Domain.com, GoDaddy, Namecheap, Hostinger বেশ জনপ্রিয়। তবে নিজস্ব কার্ড না থাকলে আপনি কিনতে পারবেন না বা আরেকজন কার্ড দিয়ে কিনলেও অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। তবে তার থেকে ভাল আপনি দেশীয় ভাল বা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন করুন। ডোমেইনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি এবং বিদেশী কোম্পনীর কোন ডিফারেন্স নেই। বিদেশী কোম্পানী আপনাকে যেখান থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিবে, বালাদেশী কোম্পানী সেখান থেকেই রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিবে। বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেক ভাল ভাল কোম্পানি আছে, যাদের সাপোর্ট এবং হোস্টিং কোয়ালিটি অনেক ভাল এবং সন্তোষজনক। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- Exonhost, LimdaHost, Btmaxhost, Xeonbd, Hostever অন্যতম। এই লিস্টে থাকা যেকোন কোম্পানি থেকে আপনি প্রতারিত হবেন না। তারা আপনাকে ডোমেইন এর সম্পূ্র্ন কন্ট্রোল প্রদান করবে।

আপনি যদি ডোমেইন হোস্টিং এর সাথে রিলেটেড সমস্যা বা প্রশ্ন সম্পর্কে সহজেই সমাধান খুঁজতে চান, তাহলে হোস্টিং সেবা এবং ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন দুটোই একই কোম্পানি থেকে নেওয়া ভালো হতে পারে। এটি আপনার জন্য বিশেষত সুবিধাজনক হতে পারে।

হোস্টিং কেনার আগে করণীয়  হলো কখনো লোভ করবেন না, ভাল কোম্পানি অফার দিলে সেটা গ্রহণ করুন। তবে নাম না জানা ওয়েবসাইট থেকে বা কারো কথার লোভে পরে ব্যক্তির থেকে কিনেন, তাহলে আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন। ভাল কোম্পানি কখনো সাত/পাঁচ বুঝিয়ে হোস্টিং বিক্রি করবে না। তাছাড়া তাদের বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে। হোস্টিং সেবা নিয়ে মানি-ব্যাক গ্যারান্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য। এটা গ্রাহকদের বিশ্বাস তুলে ধরতে সাহায্য করে এবং তাদের কাছে সেবা প্রদানকারীর উত্তরমুখী আচরণ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। মানি-ব্যাক গ্যারান্টি প্রদানকারী কোম্পানির কাছে যদি আপনি সেবার সাথে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে আপনি আপনার টাকা ফেরত পাবেন। এটি গ্রাহকের প্রাথমিক মূল্যায়নের মধ্যে একটি প্রতিফলন সাধারণত। তবে, মানি-ব্যাক গ্যারান্টির শর্ত এবং শর্তাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

 

Share this Post